মীর জাফর দিয়ে ভরপুর এই দেশ: পাঠ্যপুস্তক দখল করার ইতিহাস

মীর জাফর দিয়ে ভরপুর এই দেশ: পাঠ্যপুস্তক দখল করার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে শিশুদের অশ্লীলতার শিক্ষাদানের অংশটুকু (স্বাস্থ্য সুরক্ষা নাম দিয়ে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে) শিক্ষকরা মেনে নিবেন না, পিতামাতারাও মানবেন না। এসব নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে ২০১৩-২০২০ সাল পর্যন্ত। গবেষণার প্রতিবেদনে এই…

মীর জাফর দিয়ে ভরপুর এই দেশ: পাঠ্যপুস্তক দখল করার ইতিহাস

পাঠ্যপুস্তকে শিশুদের অশ্লীলতার শিক্ষাদানের অংশটুকু (স্বাস্থ্য সুরক্ষা নাম দিয়ে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে) শিক্ষকরা মেনে নিবেন না, পিতামাতারাও মানবেন না। এসব নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে ২০১৩-২০২০ সাল পর্যন্ত। গবেষণার প্রতিবেদনে এই অংশটুকু শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এনজিওকে জড়িত করতে প্রস্তাব ছিল। কেননা  তাদের লজ্জা কম। তারা এগুলো করেই জীবিকা নির্বাহ করে। 

অন্যদিকে ফজলে আবেদের প্রতিষ্ঠান ফিল্ড লেভেলে এক্সপেরিমেন্ট করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে এগুলো উঠতি বয়সী শিশুরা (ছেলেমেয়ে একসাথে) নিজেরাই শিখবে। এজন্য অনলাইন কন্টেন্ট বানাতে হবে যার হোস্টিং থাকবে পশ্চিমা দেশে যাতে বেনামে কনডম পড়া, হস্তমৈথুন উৎসাহিত করা, এমন কী কীভাবে চুমু খেতে হবে তাও শিখতে পারে। পায়ুসঙ্গম খুবই স্বাভাবিক- এটাই সেখানে অন্যতম উদ্দেশ্যও। 

এই উদ্দেশ্যে তারা শিশুদের জন্য প্রত্যেক স্কুলে নিরাপদ স্থান তৈরি করতে (কিশোর-কিশোরী ক্লাব) পলিসি লেভেলে লবিং করে; প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বেশ কয়েকটি গোলটেবিল বৈঠক করে এর গ্রহণযোগ্যতা পুশ করে।

এনসিবিটির মসিউজ্জামান সাহেব আগে থেকেই অশ্লীলতার পক্ষে পশ্চিমা এনজিওর সাথে জড়িত ছিলেন।

অবশেষে ক্লাব আইডিয়া গ্রহণ করা হয়। ইউনিসেফ শাহানা কার্টুন বানায় (এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে, আস্তে অশ্লীলতার লেভেল বাড়তে থাকবে)। লবিং করে তারা স্কুলগুলোতে এগুলো শেখাতে বাধ্য করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কড়া চিঠি ইস্যু করায়।

অন্যদিকে এনসিবিটির সিনিয়র কিছু দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা এনজিওর খবরদারী নিয়ে প্রতিবাদ করেন৷ কয়েকজন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। অনেককে বদলি করা হয়েছে।

অবশেষে কারিকুলাম এনজিও দখল করে নেয়।

উপরের ছবিটি এলজিবিটি মতবাদ কায়েমের লং-টার্ম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। ৫০টি আলিয়া মাদ্রাসাতেও পরীক্ষা করা হয়। জেমস কারিকুলামের অংশ। একই থিমে ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস নাইন পর্যন্ত কারিকুলাম সাজানো হয়েছে। মনে রাখতে হবে এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। এগুলো উঠতি বয়সী ছেলে ও মেয়েদেরকে ক্লাসে ফান করে পড়ানো হয়েছে, ভিডিও এবং বোর্ড গেইমের মাধ্যমে। এসব এক্সপেরিমেন্ট সফল হওয়ায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে হাত দেয় পশ্চিমা সংস্থা এবং দেশী মীর জাফর বাহিনী। শরীফার গল্প এই থিমের একটি উদাহরণ মাত্র। সচেতনতা কাম্য।

জেমস কারিকুলামে কি শেখানো হয়েছে তার বিবিসি ভিডিও:  https://youtu.be/mcJDFyUbiw4?si=KiF5QXlr6EyKteIf

একটা ন্যারেটিভ বাজারে চালু করা হচ্ছে। আমরা যেহেতু সুদ, এলজিবিটি ঠেকাতে পারব না, তাই  অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে সব মেনে নেওয়াই ভালো! তাই কিভাবে এগুলোকে হালাল বানানো যায় তার চেষ্টা করা উচিত! এইটা একটা বড় ধোঁকা। আপনি যদি সমস্যা স্বীকার-ই না করেন তবে সমাধানের কোন সুযোগই থাকল না। আমাদের ব্যর্থতার জন্য কোন ভুল বিষয় শুদ্ধ হয়ে যায় না। ভুল স্বীকার করে তা শুধরাতে ৫০০-১০০০ বছর লাগুক, তারপরও চেষ্টা করে যেতে হবে। এতে অন্তত আল্লাহর কাছে বলা যাবে যে, আমি মনে-প্রাণে ভুলকে মেনে নেইনি, চেষ্টা করে গেছি শুধরাতে। 

Similar Posts