ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিসক্লেইমার
আমার লেখালেখি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কেন্দ্রিক নয়। আমার প্রচেষ্টা আদর্শগত দৃষ্টিকোন থেকে লং-টার্ম চিন্তা করে পিতামাতা, শিক্ষক এবং দেশের পলিসিমেকারদের সচেতন করা।
আমার লেখালেখি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কেন্দ্রিক নয়। আমার প্রচেষ্টা আদর্শগত দৃষ্টিকোন থেকে লং-টার্ম চিন্তা করে পিতামাতা, শিক্ষক এবং দেশের পলিসিমেকারদের সচেতন করা।
ট্রান্সফোবিক ট্যাগিং করে সমকামী গোষ্ঠীর লোকজন গ্রুপ এটাক করে প্রতিবাদকারীকে মানসিকভাবে ভয় পাইয়ে দিতে চেষ্টা করে। এরা ক্ষমতা এবং নেটওয়ার্কিং ব্যবহার করে। তারা যদি জিতে যায় তবে এধরণের সামাজিক ইস্যু নিয়ে কথা বলার মানুষ সহজে আর তৈরী হবে না।
প্রথম কোন ইসলামিক স্কলার ট্রান্সজেন্ডার এবং হিজড়া নিয়ে খুব শক্তিশালী বক্তব্য দিয়েছেন। ৫ মিনিটের বক্তব্যে পুরো বিষয়টির ( সমস্যা ও সমাধান) নিয়ে দারুণ যৌক্তিক আলোচনা করেছেন। উনার ফলোয়ারের সংখ্যা ২৪+ লক্ষ। এটা বড় একটি পজিটিভ ডেভেলপমেন্ট। উনার দেখাদেখি অন্য আলেমরাও সোচ্চার হবেন।
জুম্মার খুতবায় মুফতি হেমায়েতুল্লাহ সাহেব সাধারন মুসল্লিদের উপযোগী করে সম্প্রতি (১৭ নভেম্বর ২০২৩) বয়ান করেছেন। ইসলামের আলোকে হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে আলোকপাত করেছেন।
প্রায় ২ বিলিয়ন মুসলিমদের জন্য এটি মৌলিক ধর্মীয় তথা ঈমানিক ইস্যু। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- মুসলিম বিশ্বে (উন্নয়নশীল) এটা কি প্রতিষ্ঠা করার সম্ভব? হ্যা, অসচেতনতার কারনে এটা আমাদের দেশের মত দূর্বল আর্থ-সামাজিক সিস্টেমে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
ট্রান্সজেন্ডারিজম মুভমেন্ট অনুযায়ী বায়োলজিক্যাল ছেলে এবং মেয়ের অস্তিত্বকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা সামাজিক সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। সায়েন্টিফিক জার্নাল, মেডিকেল ফিল্ডের ভাষাও পরিবর্তন করে ফেলেছে ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শের আলোকে।
হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার দুটি ভিন্ন বিষয়। একটি হচ্ছে জন্মগত সমস্যা আরেকটি হচ্ছে মানসিক অবস্থা। এই পরিভাষার পার্থক্য বুঝা জরুরী। ‘সন্তান প্রতিপালনে এ যুগের চ্যালেঞ্জ’– বই থেকে ভিডিওতে আলোচনা করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে—ট্রান্সজেন্ডার শনাক্তকরণে কোনো মেডিক্যাল পরীক্ষানিরীক্ষা নেই (যেমন: ডায়াবেটিস পরীক্ষার মতো), কেননা এটি মনের ইচ্ছাধীন (self-identified) এবং কিছু প্রশ্নমালার (Questionnaire) ওপর জরিপ করে শনাক্ত করা হয়।
২০২২ সালে জনসংখ্যা ও আবাসন শুমারি-২০২২–এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে হিজড়া ১২ হাজার ৬২৯ জন। রাষ্ট্রের দায়িত্বের পাশাপাশি ধর্মীয় দিক থেকেও হিজড়াদের পাশে দাঁড়ানো গুরুত্বপুর্ণ সামাজিক দায়িত্ব। মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিচয় শনাক্ত করে হিজড়াদের পড়ালেখা, আবাস ও কর্মসংস্থান তৈরীতে পদক্ষেপ গ্রহণ হবে যাতে তারা দেশের দক্ষ জনবল হয়ে গড়ে উঠে। আইনের মাধ্যমে হিজড়া সম্প্রাদায়ের অধিকার নিশ্চিত হওয়া জরুরী।