যারা উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে যেতে চান

কখনো হতাশ হওয়া যাবে না। নিজেকে প্রডাক্টিভ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলে সুযোগ তৈরী হয়।

ব্যক্তিগত অবজার্ভেশন শেয়ার করছি। অনেকেই আশানুরূপ রেজাল্ট না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় ভুগতে থাকেন। নীজেকে প্রশ্ন করতে থাকেন- আমি কী পারব? আমার দ্বারা কী হবে? যারাই খুব প্যাশন বা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে চেষ্টা করেছেন তারা কোন না কোনভাবে রিসার্চার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, দেশে-বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছেন। এ বিষয়ে অনেক কেইস স্টাডি করেছি।

যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট হিসেবে নীচের সারির বা আশানুরূপ রেজাল্ট করতে পারেননি তাদের অনেকেই এখন আমেরিকার, ইউরোপে শিক্ষকতা করছেন, বিখ্যাত বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

আমার জানা মতে দেশেও এধরনের বড় মাপের মানুষ আছেন যারা ছাত্রাবস্থায় চিন্তাও করেননি তাঁদের আজকের অবস্থা। কোন রকমে উচ্চ শিক্ষার সুযোগে বেশীরভাগ প্যাশনেট মানুষদের চিন্তার-ভাবনার জগত খুলে যায়; বড় বড় স্বপ্ন দেখতে থাকেন। সে অনুযায়ী প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলে অবশেষে তারাই সফল হন।

ব্যক্তিগত অবজার্ভেশন অনুযায়ী- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসের শীর্ষস্থানীয় ছাত্ররা যারা শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তাদের সায়েন্টিক এচিভমেন্ট তেমন আশাব্যাঞ্জক নয়। সাধারনত দেখা যায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার পর কমনওয়েলথ টাইপের স্কলারশিপে পিএচডি করে দেশে ফিরে আসেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় দেশের জবকে নিশ্চিত করাই মুখ্য বিষয়। যার কারনে রিসার্চে তেমন ফোকাস করতে পারেন না। এধরনের শিক্ষক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য থাকার পরও দেশে রিসার্চের ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি নেই।

বলে রাখা ভাল- ফান্ডিং সমস্যার চেয়ে আমাদের মানসিকতার সমস্যা, ড্রাইভ দেয়ার আগ্রহের অভাব। যারা সবকিছু ছেঁড়ে-ছুঁড়ে পজিটিভ (কমিউনিটি সার্ভিস) উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচেষ্টা চালান, পজেটিভলি চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন তারাই মূলত কেরিয়ার লাইফে সফল হোন। কোন কিছু কোন আকঁড়ে ধরে রাখার মানসিকতা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অন্তরায় হিসেবে কাজ করে।

মাইক্রোবায়োলজিতে পড়ার সময় আমাদের বেশীরভাগের আগ্রহ ছিল পিএইচডি’র সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা। কোন সিনিয়র ভাই বিদেশে পড়াকালীন সময়ে বেড়াতে আসলে আমরা তাকে আটকে রেখে পিএইচডি’র গল্প শুনতাম! বিশ্ববিদ্যালয় লাইফে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে উচ্চতর পড়াশুনার বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার শুনার জন্য জ্বালাতন করতাম!

কখনো হতাশ হওয়া যাবে না। নিজেকে প্রডাক্টিভ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলে সুযোগ তৈরী হয়। এক সময় ইংরেজীতে অত্যন্ত দূর্বল, রেজাল্টও ভাল ছিল না এমন বেশ কয়েকজনকে ব্যক্তিগতভাবে জানি যারা আমেরিকার, অস্ট্রেলিয়ার ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

তাই নীজেকে আগে আবিষ্কার করতে হবে, চিন্তা-ভাবনা করে বের করতে হবে আসলে জীবনে কি চাও? বিশ্বাস করতে হবে পৃথিবীর এত মানুষ পারলে আমি পারব না কেন?

Be confident. Try honestly and smartly. Success will follow you.

Similar Posts