বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংঃ পাবলিক বনাম প্রাইভেট

বাস্তবতা হচ্ছে রিসার্চ কালচার গড়ে তুলতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প নেই। শিক্ষাঙ্গন রাজনীতিমুক্ত করার পাশাপাশি রিসার্চ ফান্ডিং বাড়াতে হবে এবং তা যোগ্যতার ভিত্তিতেই সময়মত বরাদ্দ দিতে হবে, পাবলিক-প্রাইভেট বৈষম্য থাকা যাবে না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক র‍্যাংকিং নিয়ে ইদানিং বেশ আলোচনা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কাঁদা ছুড়াছুঁড়ি পর্যায়ে চলে গেলেও তা দেশের জন্য পজিটিভ ডেভেলপমেন্ট। দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে র‍্যাংকিং আলোচনায় আসছে তা ক্রমাশ অধ:পতিত শিক্ষাব্যবস্থায় আশা জাগানিয়া বার্তা।  

৯০’ এর দশকে বর্তমান সময়ের মেডিকেল ট্যুরিজমের মত হাজার হাজার শিক্ষার্থী ইন্ডিয়ার অজপাড়া গায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেত। এতে কষ্টার্জিত অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি পাশপাশি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের গ্রাজুয়েট হওয়ার সুযোগ তৈরী করেছে।  কিছু ভিশনারী উদ্যোক্তার কারনে দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সেই বিদেশমুখী স্রোত অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে। তাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের জন্য আশীর্বাদ।    

দেশের নাগরিকের শিক্ষার সুযোগ পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার। ২০২১ সালের পত্রিকার এক  রিপোর্ট অনুযায়ী পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ হাজার। অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা দুই লক্ষের বেশী। গত বছর প্রায় ১৩ লক্ষ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কোভিডের কারনে অটোপাশ করিয়ে দেয়ার ফলে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এত স্টুডেন্ট পড়বে কোথায়?  এক্ষেত্রে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের জন্য বড় সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।    

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে  রিসোর্স প্রাচুর্যতা এবং বৈচিত্র্যতা অনেক বেশি কেননা এগুলো জনগণের টেক্সের টাকায় চলে। অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকার কোন আর্থিক সহয়তা দেয় না। এগুলোকে অর্থ উপার্জন করে চলতে হয়। প্রসংগত,  আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি  প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় (টিউশন ফি অনেক বেশী) হলেও  সরকারী সহয়তা পায়। 

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ   

বিশ্ব র‍্যাংকিং এর ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্যারামিটারের মধ্যে রিসার্চ সুযোগ-সুবিধা, আউটপুট বড় একটি ফ্যাক্টর। রিসার্চ ফান্ডিং এর ক্ষেত্রে সরকার তথা ইউজিসি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করে তা গোপন বিষয় নয়। সরকার ধরেই নিয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মত। এই মনোভাব পোষণের কারনে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র উপর আয়কর বসাতে চেষ্টা করা হয়েছে। শুনতে রূঢ় মনে হলেও সত্য যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (যারা ইজিসিসি সাথে জড়িত) অনেক প্রফেসর প্রাইভেটে পড়িয়ে এক্সট্রা টাকা কামাই করেন, কিন্তু পলিসি বানানোর ক্ষেত্রে চরম পক্ষপাত দেখা যায়। 

প্রসংগত, কোভিড শুরুর আগে বছর সরকারী এক রিসার্চ গ্র্যান্টের (জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত) জন্য আবেদন করতে গিয়ে জানলাম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর (পিএই বা প্রজেক্ট ডিরেক্টর) হতে পারবে না। এটি পলিসির অংশ। কয়েকজন শুভাকাংখী পরামর্শ দিলেন প্রজেক্ট প্রপোজাল প্রস্তুত করে কোন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরকে পিআই করে যেন সাবমিট করি। এতে ফান্ড পেলে কাজ করা যাবে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি আইডিয়া তৈরী করব, পরিশ্রম করব কিন্তু সব ক্রেডিট প্রধান ইনভেস্টিগেটরের নামে ডকুমেন্টেশন হবে।  এটি অনৈতিক এবং এটি চরমভাবে বৈষম্যমূলক পলিসি। ইউজিসি’র রিসার্চ গ্রান্টের ক্ষেত্রেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চারদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ শিকার হতে হয় যা ওপেন সিক্রেট। তাহলে কি দাঁড়াল- প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা  কি বাংলাদেশের নাগরিক নন?  রিসার্চ আউটপুট কি বাংলাদেশের নয়? সরকারের পলিসি সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। এটা হতে হবে যোগ্যতার ভিত্তিতেই।     

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি গবেষণার পরিবেশ আছে?  

সরাসরি জবাব দিলে এর উত্তর নেগেটিভ হবে, তা যেকোন নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হোক না কেন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত আন্ডারগ্রাজুয়েট টিচিং বিশ্ববিদ্যালয়। বছরে ৩টি সেমিস্টার। সময়মত ক্লাস, পরিক্ষা  হয়। তাই এখানের ফ্যাকাল্টিদের বেশিরভাগ সময় কাটে লেকচার এবং খাতার স্কোরিং করে।  তাছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে  পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এখানের মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোর মান প্রশ্নসাপেক্ষ কেননা এগুলো চলে মূলত সন্ধ্যায় বা ছুটির দিনে । চাকুরীজীবীদের বড় অংশ শুধুমাত্র স্টাটাস বাড়াতে একটা সহজ মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে থাকেন। তাই মাস্টার্স স্টূডেন্টদের কাছে গবেষণা আশা করা সুদূর পরাহত। অন্যদিকে আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলে চেষ্টা করলে মোটামুটি রিসার্চ করা যেত যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো্র ফোকাস সেইভাবে করা থাকত।  আরেকটি বাস্তবতা মেনে নিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগ্রাম করতে হয়। দেশের মেধাবী এবং স্ব-অনুপ্রনোদিত (self-motivated) শিক্ষার্থীরা (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, বুয়েটে ভর্তি হয়। যারা সেই প্রতিযোগিতা টিকতে পারে না তারা মূলত ভর্তি হয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত স্ব-উদ্যোগী স্টুডেন্টের সংখ্যা নগন্য। তাই গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থী পাওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে রিসার্চ ফান্ডিং ইস্যু বাদ-ই দিলাম।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় পিছিয়ে পড়ার মূল কারনগুলো কী কী?  

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে  এত মেধাবী এবং স্ব-উদ্যোগী শিক্ষার্থীরা থাকা সত্ত্বেও রিসার্চের এত বেহাল অবস্থা কেমনে হলো ? আমার দৃষ্টিতে এর নেপথ্যে মুখ্য বিষয়গুলো হচ্ছে-

১। একাডেমিক্যালি অপরিপক্ক শিক্ষক নিয়োগ। মাস্টার্স পাশ করে একজন লেকচারার হিসেবে জয়েন করেন এবং  বছর ২-৩ এর মধ্যে এসিস্টেন্ট প্রফেসর হয়ে যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদের রিসার্চে তেমন হাতেখড়ি হয়নি তারা কিভাবে শিক্ষার্থীদের ট্রেইনিং দিবে? একজন ছাত্র একাডেমিক্যালি ভাল রেজাল্ট করলেই রিসার্চার হয়ে যায় না।  

২। শিক্ষক  নিয়োগের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে রাজনৈতিক যোগসূত্র। যত ভাল রেজাল্ট করুক না কেন তাকে প্রমাণ করতে হবে যে সে সরকার দলীয় সমর্থক। ব্যক্তিগত পরিমন্ডলে অনেকে আছেন যারা মনে-প্রাণে রাজনীতি পছন্দ করেন না, কিন্তু উপরে উপরে নিজেকে প্রমাণ করতে হয় যে তিনি দলীয় শিক্ষক!   

৩। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে  অনেক ভাল ফ্যাকাল্টি আছেন যারা বিদেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে রিসার্চ ট্রেইনিং (পিএইচডি-পোষ্টডক) নিয়ে দেশে ফেরেন। যারা কর্মঠ তারা নেগেটিভ পরিবেশে হতাশ হয়ে চুপসে যান। রাজনৈতিক বা জানাশুনা নেটওয়ার্কিং (পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে) ছাড়া সচারাচর বড় রিসার্চ ফান্ড পাওয়া যায় না। এটলিস্ট রাজনীতিতে সিল মারা সিনিয়র প্রফেসরদের কাছে ধন্না দিতে হবে। যারা নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দিতে পারেন  না তারা দেশের বাইরে চলে যান অথবা নীরব হয়ে যান। নামকওয়াস্তে রিসার্চ করতে হয় শিক্ষার্থীদের থিসিস করানোর বাধ্যবাধকতা এবং প্রমোশনের জন্য। এসব রিসার্চের জন্য কয়েক লক্ষ টাকার রিসার্চ ফান্ডের সুযোগ আছে পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিদের জন্য। এত কম ফান্ডে যে মানসম্পন্ন রিসার্চ করা যায় না তা সম্ভবত পলিসিমেকারদের তেমন ধারনাতেই নেই।   

৪। গদবাধা রিসার্চ হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে (কিছু ব্যতিক্রম সব জায়গায় আছে)। যেমন- সবজিতে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া আছে? ঢাকার পানিতে কি কি ব্যাক্টেরিয়া আছে? এন্টিবায়োটিক সহনশীল কিনা ইত্যাদি টাইপের শত শত  প্রজেক্ট হয়।  এসব প্রজেক্টে শিক্ষার্থীরা কিভাবে ব্যাক্টেরিয়াল কালচার করতে হয় তা  শিখতে পারে- এতটুকুই, এটাকে রিসার্চ বলা যায় না। এগুলো দিয়ে যদি সত্যিকারে চলমান প্রজেক্টের মনিটরিং করা হতো  তা হলে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতে পারত। এসব দিয়ে লোকাল জার্নালে বা কনফারেন্সে পাবলিকেশন হয় যা দিয়ে সহজে প্রমোশন, রাজনৈতিক পদ লাভ করা যায়।  

৫। একদিকে ভাল ফ্যাকাল্টি নির্জীব হওয়া,  অন্যদিকে রাজনীতির লেজুরবৃত্তি করা ফ্যাকাল্টি যাদের রিসার্চের আগ্রহ নেই (যদিও এরা ফান্ড পেতে পারে)। একারনে শিক্ষার্থীরা রিসার্চ মেন্টর খুজে পাচ্ছে না। দিন দিন এটা প্রকট হয়ে উঠছে।

এত সীমাবদ্ধতার মাঝেও কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং বা গবেষণায় কিভাবে ভাল করছে? 

ব্যক্তিগত এনালাইসিস মতে (আপনি দ্বিমত করতেই পারেন)  র‍্যাংকিং বিবেচনায় দেশের ১০০ এর বেশী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৩-৫ টি মানের দিক থেকে গননায় ধরা যায়। অন্যদিকে ৫১ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১০-১২টি র‍্যাংকিং আলোচনায় আসার মত।   

হাতে গোনা কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সেলফ-মোটিভেইটেড যোগ্যতাসম্পন্ন কিছু ফ্যাকাল্টি ভাল পাবলিকেশন করছে যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক তেমন সাপোর্ট নেই। তাছাড়া ভালমানের ফ্যাকাল্টি (যাদের পাবলিকেশন ট্রেক রেকর্ড ভাল) এবং ভাল ডকুমেন্টেশন সিস্টেম (ওয়েব ভিজিবিলিটি) এর কারনে র‍্যাংকিং-এ তুলনামূলকভাবে ভাল স্কোর করে।  পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে ভিজিবিটিলি অনেক কম, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মূল ওয়েবসাইটও নিয়মিত আপডেট করা হয় না।  

সম্ভাবনার কথা-

বাস্তবতা হচ্ছে রিসার্চ কালচার গড়ে তুলতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প নেই। শিক্ষাঙ্গন রাজনীতিমুক্ত করার পাশাপাশি রিসার্চ ফান্ডিং বাড়াতে হবে এবং তা যোগ্যতার ভিত্তিতেই সময়মত বরাদ্দ দিতে হবে, পাবলিক-প্রাইভেট বৈষম্য থাকা যাবে না। প্রসংগত, ২০২১ সালে দেশের ১৫৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে মাত্র ২৩ মিলিয়ন ডলার রিসার্চে বরাদ্দ ছিল! অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বরাদ্দকৃত টাকাও খরচ করতে পারেনি! এটা ইউজিসির রিপোর্ট। ধারনার জন্য – আমেরিকার মাঝারী টাইপের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর কমপক্ষে ৫০০ মিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র রিসার্চে ব্যয় করে। যেমন ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা ২০২০ সালে খরচ করেছে কমপক্ষে ৬০০ মিলিয়ন ডলার।  

কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইলে তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে কেননা এখানে রাজনীতি নেই। তাই ট্রাস্ট্রি বোর্ড  সত্যিকারে চাইলে গবেষণার পরিবেশ গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। সমস্যা হচ্ছে এখানের ট্রাস্ট্রি বোর্ড মেম্বারদের রিসার্চ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা নেই, কেননা তারা বেশিরভাগ ইন্ড্রাস্ট্রিলিয়াস্ট যাদের চিন্তা-ভাবনা প্রডাক্ট কেন্দ্রিক ( এটা মূলত টাকার অংকে)। তাঁদের জন্য একাডেমিক বিষয় অনুধাবন করা কঠিন।   

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কিছু ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারে (এপ্লাইড সায়েন্স, লাইফ সায়েন্স, বিজনেস) যদি সেখানের পলিসিমেকার যদি চান। দৃষ্টান্তস্বরূপ, সরকারি একটি ফার্মা কোম্পানি আছে যার নাম বেশিরভাগ মানুষ জানে না। কিন্তু প্রাইভেট ফার্মা কোম্পানি, হাসপাতালগুলো দেশের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার দায়িত্ব পালনে লিড দিচ্ছে, যেখানে সরকার ব্যর্থ। তাই প্রাইভেট বনাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা করার এখনো সময় হয়নি। সুর্নিদিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কমপক্ষে আরো ১০-২০ বছরের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।  

আর্টিকেলটি বণিক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং নিয়ে কিছু কথা শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল (৩০ অক্টোবর ২০২২)

Similar Posts