ভয় মানসিকতা নিয়ে নিজের অনুভূতি শেয়ার করছি, কাজে লাগতে পারে
ভয় হচ্ছে পুরোটাই মানসিক ব্যাপার। আশে-পাশের কিছু ঘটনার উপর ভিত্তি করে মনের মধ্যে ভয় স্থান নিতে শুরু করে। এরপর দিন দিন আমরা ভীতু হয়ে যাই… সেই একই মানুষ যদি ভালমত তথ্য এনালাইসিস এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে চিন্তা করেন তাহলে…
ভয় হচ্ছে পুরোটাই মানসিক ব্যাপার। আশে-পাশের কিছু ঘটনার উপর ভিত্তি করে মনের মধ্যে ভয় স্থান নিতে শুরু করে। এরপর দিন দিন আমরা ভীতু হয়ে যাই…
সেই একই মানুষ যদি ভালমত তথ্য এনালাইসিস এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে চিন্তা করেন তাহলে মুহুর্তেই সাহস চলে আসতে পারে। এটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন… এটা প্রতিনিয়ত প্র্যাক্টিস করি…
এই ভয়টা জয় করার মাধ্যমে হাসিনা মত ফেরাউনের পতন হয়েছে, তিনি পালিয়ে গেছেন। ফ্যাসিবাদ ভয়ের রাজত্ব তৈরী করে, এজন্য আয়নাঘর, সরাসরি গু/লি, র্যান্ডম গ্রেফতার করে।
ভয় কাটাতে নিজের কাছে আগে নিজেকে সৎ থাকবে।
গত ১২ বছর দেশে অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়েছি শুধুমাত্র ভয়ের মানসিকতাকে স্থান না দিয়ে। ফ্যাসিবাদের এক সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট ইন্ডাস্ট্রির চাকুরি ছাড়তে বাধ্য করেছিল তাদের ম্যানেজমেন্টকে। যদিও ইনসেপ্টার মালিক আমাকে খুব পছন্দ করতেন।
এত যোগ্যতা থাকার পরও কর্মচঞ্চল মানুষটি হঠাত অফিশিয়ালি বেকার হয়ে যায় ২০১৬ সালে। ২০১২ সালে দেশে ফিরেছিলাম। ১০ মাস বসে ছিলাম, টেক্সটাইল ফিল্ডে বিজনেস দাড় করানোর চেষ্টা করেছি… সেটা হয়েও হয়নি, ইউরোপের সাথে কলাবোরেশন ছিল টেক্সটাইল এনজাইম নিয়ে।
রিসার্চ করতে যেন কেউ আর বাধা না দিতে পারে এজন্য BRF প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেই সময়টাতে। যাদেরকে প্রতিষ্ঠান রিসার্চ করতে বাধা দেয়, সহযোগিতা করে না, তাদেরকে আমাদের প্লাটফর্ম থেকে সহযোগিতা করা হয় রিসার্চ কন্টিনিউ রাখতে…
জঙ্গি ট্যাগটা বেশি মারাত্মক ছিল। শরীফাদের (এলজিবিটি) শক্তিশালি লবিং গ্রুপ আছে দেশে যা অনেকের চিন্তারও বাইরে। সেই ইস্যুতে আমাকে ৩ মাসের বেতন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।
পদত্যাগ কখনো-ই করব না,… কোন অন্যায় তো করিনি, বরং আপনাদের সন্তান, বংশধরদের মঙ্গলের জন্য কাজ করেছি। চাইলে আপনারা জব খেয়ে দিতে পারেন, এটা আপনাদের ইচ্ছা…। এটা ছিল আমার জবাব…
ব্যাপারটা অনুধাবন করে অবশেষে তারাও কিছুটা আবেগ তাড়িত হয়ে ৭ দিন সময় দিলেন। এই জঙ্গি ট্যাগের মূলে কারা জড়িত ছিল তা বের করা ছিল আমার উদ্দেশ্য…
অবশেষে যেই ডিজিএফআই দেখে এত ভয় লাগত তাদের সাথেই যোগাযোগ করি! ফেসবুকে লেখালেখির কারনে সম্ভাব্য শরীফা ইস্যু তৈরী হতে পারে ডিজিএফআই এর এন্টি-টেরোরিজম টিম ক্যাম্পাসে এসেছিলেন আমার সাথে কথা বলতে, ব্যাপারটা বুঝতে…
এটা ২০২৩ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহের ঘটনা। নর্থ সাউথে শরীফার ইস্যু তৈরী হয় অক্টোবর ২০২৩… সবকিছু দ্রুত গতিতে ঘটে যাচ্ছিল…
কঠিন বিপদের সময় সেই ডিজিএফআই এর কর্মকর্তা আমাকে সহযতা করেছেন। আমার সিভি নিয়েছেন যাতে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে কনভিন্স করতে পারেন …
আমার রিসার্চ ট্রেক রেকর্ড যে শক্তিশালি তা উপস্থাপন করা হয়… সরোয়ার জঙ্গি হতে পারে না…। ভুলে গেলে চলবে না, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপত্তা দিক থেকে বিখ্যাত দেশ সিংগাপুরে সাড়ে ১০ বছর কাটিয়েছি। তাই, যারা জঙ্গি প্রমাণে চেষ্টা করে, তারাই মিথ্যুক, তারাই জঙ্গি।
তাই ভয় পাবেন না, আল্লাহ আমাদের জন্য রিজিক, সম্মান বরাদ্দ করে রেখেছেন। সৎ থেকে আল্লাহর উপর শুধু ভরসা করে লেগে থাকতে হবে… বাকীটা আল্লাহ অবশ্যই দেখবেন, ইনশাআল্লাহ।
আর যদি এই দুনিয়ায় আপনি ক্ষতিগ্রস্তও হোন তবে সেটা মৃত্যুর পরের অনন্তকালে জীবনে আল্লাহ পুষিয়ে দিবেন…
আল্লাহ ভীরুদের মানুষকে ভয় করা উচিত নয়…